বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : প্রজাপতির দুই পক্ষের অর্থাৎ বরপক্ষ ও কণে পক্ষের মধ্যে ডির্ভোস সংক্রান্ত কারণে আর্থিক লেনদেন বা যৌতুক সংক্রান্ত বিষয়ে সচারচারই শোনা গেছে, কণে পক্ষের প্রদেয় পণের বা যৌতুকের বা কাবিননামার টাকা বরপক্ষ ফেরত দিয়েছে। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য যে, বিয়ে ও ডির্ভোসের মাঝামাঝি প্রায় ১ মাসের মধ্যে আমেরিকা প্রবাসী বরের কাছ থেকে কণে ও তার শ্বশুর কর্তৃক কৌশলে প্রায় ৩ বছর পূর্বে হাতিয়ে নেয়া ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকার মধ্যে শাহজাদপুর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের হস্তক্ষেপে ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় আজ মঙ্গলবার কণের পিতা ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা অবশেষে ফেরত দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাহজাদপুর কমিউনিটি পুলিশিং, থানা পুলিশ ও বর পক্ষ অভিযোগে জানিয়েছে, প্রায় ৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার খাদুলী গ্রামের জামাল সর্দারের ছেলে আমেরিকা প্রবাসী কামাল হোসেনের সাথে শাহজাদপুর পৌরসদরের দ্বারিয়াপুর মহল্লার রফিকুল ইসলাম রফিকের মেয়ে রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের ১ মাসের মধ্যেই নববধু রুমা ও তার পিতা রফিকুল ইসলাম তার জামাতা আমেরিকা প্রবাসী কামাল হোসেনের কাছ থেকে কৌশলে নানা অযুহাতে প্রায় ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা নেয়। ১ মাস পর কামাল ও রুমা দম্পত্তির বিবাহ বিচ্ছেদ ( ডির্ভোস ) ঘটলে বর কামাল হোসেন ও তার পিতা জামাল সর্দার সাবেক বিয়াই রফিকুল ইসলামের নিকট পাওনা টাকা ফেরত চায়। কিন্তু রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম নানা তালবাহানা করেন এবং ওই টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। উপায়ান্তর না দেখে কামালের পিতা জামাল সর্দার সমাজপতি, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে শাহজাদপুর থানায় প্রতারণার মাধ্যমে ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা উদ্ধারে প্রমাণসহ অভিযোগ করেন। থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের সম্পৃক্ত করে সুরাহার জন্য এ ঘটনার তদন্তভার এসআই আব্দুল জলিলের ওপর ন্যাস্ত করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জলিল থানার এসআই ফারুক আজম ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহযোগীতায় তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলে এক পর্যায়ে রুমার বাবা রফিকুল ইসলাম রফিক টাকা নেয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহযোগীতায় এসআই আব্দুল জলিল ৩ বছর পূর্বে হাতিয়ে নেয়া টাকার মধ্যে আপোষরফা শেষে ১০ লাখ ৫৮ হাজার টাকা রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম রফিকের মাধ্যমে আমেরিকা প্রবাসী কামালের পিতা জামাল সর্দারের হাতে তুলে দিয়ে এক বিরল জ্বালল্যমান নজির স্থাপন করলেন। এ ব্যাপারে রুমার পিতা রফিকুল ইসলাম রফিক আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ব্যাবসার লেনদেন সংক্রান্ত টাকা নেয়া হয়েছিলো। তা ফেরত দেয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারীরা বানভাসী ৫০ জনকে অর্থ সহায়তা দিলেন

বন্যা

শাহজাদপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মচারীরা বানভাসী ৫০ জনকে অর্থ সহায়তা দিলেন

শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত কর্মচারীদের উদ্যোগে গতকাল সোমবার শাহজাদপুর...

শাহজাদপুরে আবারো ১৩ অ্যানথ্রাক্স রোগী সনাক্তঃ এলাকায় আতংক

স্বাস্থ্য

শাহজাদপুরে আবারো ১৩ অ্যানথ্রাক্স রোগী সনাক্তঃ এলাকায় আতংক

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুরে মানব দেহে আবারো ভয়ংকর প্রাণী রোগ অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়েছে।...

বর্ষা বরণে করতোয়া-ফুলজোড় নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

উল্লাপাড়া

বর্ষা বরণে করতোয়া-ফুলজোড় নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

তানিম তূর্যঃ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নে 'তেঁতুলিয়া...