বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহানঃ শাহজাদপুরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় উপজেলার সোনাতুনি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙ্গণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ৭ দিনের ভাঙ্গণে এ ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের কমপক্ষে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি,গাছপালা ও ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। গ্রাম গুলি হল, ধীতপুর, শ্রীপুর, সোনাতুনি, বানতিয়ার, বড় চানতারা, ছোট চানতারা, মাকড়া ও কুরসি। ফলে এ সব গ্রামের প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা মাথা গোজার ঠাই হাড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে গেছে। অনেকে আত্মীয় স্বজন ও পার্শবর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে আবার সব হারিয়ে বেচে থাকার তাগিদে শহরে পাড়ি জমিয়েছে। এ ব্যাপারে বানতিয়ার বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, কুরসি গ্রামের নুরুল ইসলাম, ধীতপুর গ্রামের শামছুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ার পর থেকেই এ ইউনিয়নের এ সব গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। সরকারী ভাবে এ ভাঙ্গণ রোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ভাঙ্গণের কবলে পড়ে ধীতপুর বাজার ও শ্রীপুর বাজার বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বাজার দু‘টির সিকি ভাগ বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙ্গণ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে এ দু‘টি বাজার যে কোন মূহুর্তে অস্তিত্ব হারাবে। তারা আরো জানায় এখনও পর্যন্ত ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় সরকারী কোন সাহায্য সহযোগীতা মেলেনি। এমন কি ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ কোন খোজ খবরও নেয়নি। ফলে তারা সর্বস্ব হারিছে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুন রাজীব বলেন, সোনাতুনি ইউপি চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেটি হাতে পেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে সোনাতুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ২/৩ দিনের মধ্যে ইউএনওর কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর সরকারী বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তা বিতরণ করা হবে। এ দিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকায় উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের ১০ হাজার বিঘা গোচারণ ভূমি ও শতাধিক গরুর বাথান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ফলে গো-খামারীরা তাদের শত শত গবাদি পশু  বাথান এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এ সব গরু এখন খামারীদের বাড়ির আঙ্গীনা ও গোয়াল ঘরে বন্দিদশায় রয়েছে। ফলে উন্নত জাতের এ সব গরুর কাঁচা ঘাসের অভাবে দুগ্ধ উৎপাদন কমে গেছে। অপর দিকে বাজারে খইল ভুষি ও দানাদার খাদ্যের দাম বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় খামারীরা চরম বিপাকে পড়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

গাজা  প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক

গাজা প্রশ্নে ব্রিটিশ মন্ত্রী ওয়ার্সির পদত্যাগ

শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা

শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা

সিরাজগঞ্জে ভূয়া সার্জেন্ট গ্রেফতার

আইন-আদালত

সিরাজগঞ্জে ভূয়া সার্জেন্ট গ্রেফতার

চন্দন কুমার আচার্য, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নাঈমুল হাসান রনি (৩০) নামের...

উল্লাপাড়ায় নছিমন উল্টে বউ শ্বাশুড়ি নিহত, আহত ৭