শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
কাল বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) পদ্মা সেতুতে বসছে সবশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান। এর মধ্যে দিয়ে পুরো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতু দৃশ্যমান হচ্ছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বসে প্রথম স্প্যান, ৪১টি বসাতে সময় লাগলো তিন বছর তিন মাস। খরস্রোতা পদ্মা, ভরা বর্ষায় হয়ে ওঠে উত্তাল। প্রতি বছর নদী ভাঙনে যেমন সর্বশান্ত হয় মানুষ, তেমনি বয়ে আনে বিপুল পলিমাটি। সব ঝুঁকি মোকাবিলা করে বসছে ৪১ নম্বর স্প্যান। আর এর মাধ্যমে যোগ হবে জাজিরা ও মাওয়া প্রান্ত।   প্রকৌশলীরা বলছেন, নদীর বৈচিত্র্যময় গতি প্রকৃতি, তীব্র স্রোত ও পলি জমে যাওয়া, এসব ছিল স্প্যান বসানোর চ্যালেঞ্জ। ৪১ টি স্টিলের স্প্যান তৈরি হয়েছে চীনে। এসেছে স্প্যানের খণ্ড খণ্ড টুকরো। জোড়া দেয়া হয়েছে মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে। রঙ শেষে বসানো হয়েছে পিলারে। তিন হাজার দুইশো টন ওজনের একেকটি স্প্যান বসাতে হয়েছে তীব্র স্রোত মোকাবিলা করে। চীনের তৈরি শক্তিশালী ক্রেনে করে বহন করা হয় স্প্যান। ২০১৭সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়। তবে জুন, জুলাই ও আগস্টে ভরা বর্ষায় ক্রেন চলাচল করতে পারে না তীব্র স্রোতের কারণে। প্রথম স্প্যান বসানোর চার মাস পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বসে দ্বিতীয়টি। তৃতীয় স্প্যান বসে দেড় মাসের মাথায় মার্চে। এপ্রিলে বসে চতুর্থটি, পঞ্চম স্প্যান বসে জুনে। এরপর ২২টি পিলারের নকশা জটিলতায় থমকে যায় স্প্যান বসানো। যার কারণে ২০১৮ সালে মাত্র চারটি স্প্যান বসানো হয়। ছয় মাসের বিরতি দিয়ে ২০১৯ সাল থেকে একটি বা দুটি স্প্যান বসতে থাকে। ২০২০ সালে এসে গত দুই মাসে নয়টি স্প্যান বসানো হয়েছে।   বর্ষায় স্প্যান বসানো যতটা কঠিন, ঠিক ততটাই কঠিন শীতেও। কেননা ঘন কুয়াশার পাশাপাশি নাব্য সংকটে পড়তে হয়। নাব্যতা ফিরে পেতে ১০ থেকে ১২টি ড্রেজার কাজ করে। ড্রেজিং করে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কোটি সিএফটি পলি সরাতে হয়। তবে, আশার কথা হচ্ছে এত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেও জয় হচ্ছে বিজ্ঞান আর মানুষের চেষ্টার। এখন শুধুই ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন পুরণের অপেক্ষা। মোট ৪২টি পিয়ারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে পৌরসভা ও অগ্নিবীণা সংসদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দিনের বিশেষ নিউজ

শাহজাদপুরে পৌরসভা ও অগ্নিবীণা সংসদে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : আজ শুক্রবার শাহজাদপুর পৌরসভা ও ঐতিহ্যবাহী অরাজনৈতিক সংগঠন অগ্নিবীণা সংসদের উদ্যোগে ইফত...

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

উল্লাপাড়া

উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার

তানিম তূর্যঃ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের ৫ ঘন্টা পর পুকুর থেকে ইয়াম ইসলাম( ৮) নামের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে...

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

অর্থ-বাণিজ্য

উপজেলা কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শাহজাদপুর উপজেলা সংবাদদাতাঃ শাহজাদপুর উপজেলার কাপড়ের হাট আড়ৎ মালিক সমিতির নব-নির্বাচিত ক...

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা

উপ-সম্পাদকীয়

নববর্ষ পহেলা বৈশাখ নিয়ে নানা কথা