পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থায় ক্রমশ বাড়ছে হাওয়ার বেগ।আমফান আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। যা বেড়ে তা পৌঁছতে পারে ১৮৫ কিলোমিটারের আশপাশে। আমফানের জেরে কলকাতা, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া এবং নদিয়াতেও ভালই প্রভাব পড়বে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সরকারের তরফে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষকে। এছাড়াও আমফান ঘটিত বিপর্যয়ের মোকাবিলায় দুই রাজ্যে মোতায়েন হয়েছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স-এর ৪১টি বাহিনী।
আবহাওয়াবিদদের একাংশের মতে, আমফানের তাণ্ডবলীলা ভয়ঙ্কর হতে পারে। ২০০৯ সালে আয়লার ধ্বংসলীলা দেখেছে বাংলা। কিন্তু আয়লার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১১২ কিমি। গত নভেম্বরে বুলবুলের তাণ্ডবেরও সাক্ষী থেকেছে বাংলার একাংশ। তবে, আয়লা ও বুলবুলের থেকেও ভয়ঙ্কর হতে পারে আমফান। একথা মঙ্গলবারই রাজ্যের বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও।
তথ্যসূত্রঃ এবিএন