বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

মোঃ মুমীদুজ্জামান জাহান, শাহজাদপুর প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর তাঁতের কাপড়ের হাট থেকে তাঁতের শাড়ি-লুঙ্গি ও গামছা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করতে হিলি ও সোনা মসজিদ স্থলবন্দর খুলে দেয়া হলে পরিবহন খরচ ও সময় অর্ধেক কমে যাবে। তাই শাহজাদপুর ও পশ্চিমবঙ্গে অর্ধশতাধিক আমদানি ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদ ও পূজার আগেই এ দুটি বন্দর খুলে দেয়ার জন্য দু’দেশের সরকার প্রধানদের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে এ দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ রায়, রপ্তানিকারক রকিবুল ইসলাম, এনামুল হোসেন মোজমাল, বিপ্লব সাহা, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর এলাকার তাঁত বস্ত্র আমদানিকারক গজেন্দ্রনাথ সরকার ও প্রবাস প্রামানিক। বক্তারা বলেন, দ্রুত এ দুটি স্থলবন্দর তাঁত পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য খুলে দেয়া হলে আসন্ন ঈদ ও পূজায় কম খরচে ও অল্প সময়ে দ্বিগুণ পণ্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় পৌছানো সম্ভব হবে। এতে ক্রেতারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে।

এ ব্যাপারে জেবি কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী একরামুল্লাহ সাঈদ যীশু ও কায়ছার আহম্মেদ বলেন, শাহজাদপুরের কাপড় হাটের শাড়ি-লুঙ্গি ও গামছা শুধুমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়ে রপ্তানি করার অনুমতি রয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ, মুর্শিবাদ, আসাম, গঙ্গারামপুর, শিলিগুড়ি, পশ্চিম দিনাজপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় তাঁত পণ্য সরবরাহে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ সোনামসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্য সরবরাহের অনুমতি দেয়া হলে এর ৪০ ভাগ খরচ কমে যাবে। তাই তারা দু’দেশের সরকারকে দিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জোর দাবি জানিয়েছেন এবং বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। জানা যায়, শাহজাদপুর কাপড় হাট থেকে শাহজাদপুরসহ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও কুমারখালির ৮০ ভাগ তাঁত বস্ত্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রতি মাসে এ রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। এতে উভয় দেশই ব্যাপক হারে লাভবান হচ্ছে। এ রপ্তানিতে শুধুমাত্র বেনাপোল বন্দর ব্যবহারের অনুমতি থাকায় আমাদানি রপ্তানিকারকরা অন্যান্য বন্দর ব্যবহার করতে পারছে না। এতে পরিবহন ব্যয় ও সময় দ্বিগুণ লাগছে। এ দুটি বন্দর খুলে দেয়া হলে এ খরচ কমে যাবে। ফলে ক্রেতারা অল্প খরচে তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে সক্ষম হবে। তাই তারা অবিলম্বে এ দুটি বন্দর খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত সংবাদ

শাহজাদপুরে প্রতারণা মামলায় আপন ভাই ও বোনের কারাদন্ড

শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে প্রতারণা মামলায় আপন ভাই ও বোনের কারাদন্ড

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে চাচাতো বোনের দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আপন ভাই বোনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতসোমবার দুপ...

৪ কিলোমিটার ‘মুজিব বাঁধ’ ঝুকিপূর্ণ; জনদুর্ভোগ চরমে

দিনের বিশেষ নিউজ

৪ কিলোমিটার ‘মুজিব বাঁধ’ ঝুকিপূর্ণ; জনদুর্ভোগ চরমে

শামছুর রহমান শিশির : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী দক্ষিণ পাড় থেকে শুরু করে বেড়া পাম্প হাউ...