বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
নারী নির্যাতন - প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের গুলনাহার পারভীন মিনু (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন,মাথার চুল ও দুই চোখের ভ্রু কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী,শ্বাশুরি ও দেবরকে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর একটি দল মঙ্গলবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে। 

এরা হল, শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও মিনুর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন (৪৩), দেবর মোঃ সুমন (৩৫) ও শ্বাশুরি মোছাঃ ময়না বেগম (৫৫)। এর মধ্যে মেহেদী হাসান সুজনকে সাভার থেকে ও অপর দু‘জনকে সাতবাড়িয়ার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মুশফিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ২০০৬ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদেও ছেলে ও গার্মেন্টস কর্মী মেহেদী হাসান সুজনের সাথে তাড়াশ উপজেলার পৌর সদরের নিকারীপাড়ার মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে নির্যাতিতা মোছা. গুলনাহার পারভীন মিনুর বিয়ে হয়। তাদের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেহেদী হাসান সুজনের চাকুরির সুবাদে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভার এলাকায় বাস করেন। 

গত ৩ ডিসেম্বর শাহজাদপুরের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসেন। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর গৃহবধূর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন ও স্ত্রী মোছা. গুলনাহার পারভীন মিনুর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধওে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গৃহবর্ধ মিনুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তার মাথার চুল ও দুই চোখের ভ্রু  কেটে দেওয়া হয়। গৃহবধূর পরিবারের লোজকন খবর পেয়ে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে গত ১৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর মামা বকুল হোসেন বাদী হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামালা নং-২৫। পরে এ মামলার বাদী সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর কাছে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। তার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর একটি দল ২১ ডিসেম্বর  মঙ্গলবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আসামী মেহেদী হাসান সুজনকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে ও তার মা ও ভাইকে শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে শাহজাদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সোমবার বিকেলে নির্যাতিতা গৃহবধূ মিনুর স্বজনেরা তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে আধাঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম বক্স, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ, সাংবাদিক মৃণাল সরকার মিলু, ইউপি সদস্য বকুল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

সূত্রঃ প্রথম আলো

সম্পর্কিত সংবাদ

রাজনীতিতে উত্তরাধিকার প্রথা

সম্পাদকীয়

রাজনীতিতে উত্তরাধিকার প্রথা

সংবিধানের ৪ মূলনীতি-(১) গণতন্ত্র, (২) সমাজতন্ত্র, (৩) ধর্মনিরপেক্ষতা, (৪) জাতীয়তাবাদ এ সব কথা কাগজে কলমে উপহাস মাত্র। এর...

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গল...

শাহজাদপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত এমপি স্বপন

জাতীয়

শাহজাদপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত এমপি স্বপন

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন সবাইকে শোক...

শেখ হাসিনা কর্তৃক সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে - মাওঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন

জাতীয়

শেখ হাসিনা কর্তৃক সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে - মাওঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওঃ রফিকুল ইসলাম খাঁন

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবীতে রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : মহাসড়ক অবরোধ

শিক্ষাঙ্গন

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবীতে রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : মহাসড়ক অবরোধ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কোনো উদ্যোগ আজ অবধি

মিষ্টান্ননগরী  সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর

শাহজাদপুর

মিষ্টান্ননগরী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর

শাহজাদপুরে ছোট-বড় অনেক জমিদার ছিল। বিভিন্ন উৎসব-পূজা-পার্বণে তারা প্রজাদের নিমন্ত্রণ করে পেটপুরে মিষ্টি খাওয়াতেন। তারা ব...