

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের গুলনাহার পারভীন মিনু (৩০) নামে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন,মাথার চুল ও দুই চোখের ভ্রু কেটে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী,শ্বাশুরি ও দেবরকে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর একটি দল মঙ্গলবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে।
এরা হল, শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে ও মিনুর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন (৪৩), দেবর মোঃ সুমন (৩৫) ও শ্বাশুরি মোছাঃ ময়না বেগম (৫৫)। এর মধ্যে মেহেদী হাসান সুজনকে সাভার থেকে ও অপর দু‘জনকে সাতবাড়িয়ার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মুশফিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ২০০৬ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদেও ছেলে ও গার্মেন্টস কর্মী মেহেদী হাসান সুজনের সাথে তাড়াশ উপজেলার পৌর সদরের নিকারীপাড়ার মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে নির্যাতিতা মোছা. গুলনাহার পারভীন মিনুর বিয়ে হয়। তাদের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেহেদী হাসান সুজনের চাকুরির সুবাদে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভার এলাকায় বাস করেন।
গত ৩ ডিসেম্বর শাহজাদপুরের সাতবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি স্ব-পরিবারে বেড়াতে আসেন। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর গৃহবধূর স্বামী মেহেদী হাসান সুজন ও স্ত্রী মোছা. গুলনাহার পারভীন মিনুর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধওে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গৃহবর্ধ মিনুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এরপর তার মাথার চুল ও দুই চোখের ভ্রু কেটে দেওয়া হয়। গৃহবধূর পরিবারের লোজকন খবর পেয়ে তাকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে গত ১৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর মামা বকুল হোসেন বাদী হয়ে গত ২০ ডিসেম্বর শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামালা নং-২৫। পরে এ মামলার বাদী সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর কাছে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য একটি লিখিত আবেদন করেন। তার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর একটি দল ২১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে আসামী মেহেদী হাসান সুজনকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে ও তার মা ও ভাইকে শাহজাদপুরের খাস সাতবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে শাহজাদপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সোমবার বিকেলে নির্যাতিতা গৃহবধূ মিনুর স্বজনেরা তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে আধাঘন্টা ব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা করিম বক্স, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ, তাড়াশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সনাতন দাশ, সাংবাদিক মৃণাল সরকার মিলু, ইউপি সদস্য বকুল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
সূত্রঃ প্রথম আলোসম্পর্কিত সংবাদ

ধর্ম
শাওয়াল মাসে বিয়ের কোনো ফজিলত আছে কি?
সুতরাং শাওয়াল মাসে বিয়ে করাকে যেমন অশুভ মনে করা যাবে না, এ মাসে বিয়ে করাকে বিশেষ ফজিলতপূর্ণ মনে করারও কোনো ভিত্তি নেই। ত...

জাতীয়
আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। রাসূল (সাঃ) এর হাদিস গেলো কই?
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের নুকালী হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গন
রতনকান্দি আল-হামিদ মাদ্রাসার গভর্নিং বডির নতুন সভাপতি আলী সাদাত খান মজলিস
নতুন সভাপতি মো. আলী সাদাত খান মজলিসসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সদস্য সচিব মো. আব্দুল ওয়াহাব, অভিভাবক সদস...

বাংলাদেশ
দেশজুড়ে শোরগোল হলেও প্রকল্প প্রাথমিক পর্যায়ে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর আমার দেশকে বলেন, ‘প্রস্তাবিত হাসপাতালটি নিয়ে দেওয়ার মতো তথ্য এখন পর...
